চলচ্চিত্র সংগঠন থেকে কী লাভ? প্রশ্ন অনন্য মামুনের

 আন্দোলন, সংগ্রাম, মুখে আশ্বাস, অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলে চলচ্চিত্রের মানুষদের চলচ্চিত্রের কথা বলা জরুরি’ বলে মনে করেন নির্মাতা অনন্য মামুন। নিজের ফেসবুকে এ কথা বলেন,  ‘অমানুষ’ নির্মাতা। শুধু তাই নয় এসব সংগঠনের মুখের কথা ও মনের কথা এক নয় বলেও তার ভাষ্য। মামুন বলেন,  ‘এসব সংগঠনের মানুষদের মুখের কথা আর মনের কথা এক নয়।




অমানুষ চলচ্চিত্রটি মুক্তির ঠিক আগেরদিন ফেসবুকে চলচ্চিত্রের প্রচার ও চলচ্চিত্র সংগঠন নিয়ে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। যা সরাসরি চলচ্চিত্র সংগঠনের বিপরীতে যায়।

এর আগে অবশ্য  ‘নবাব এলএলবি’ ছবির একটি দৃশ্যে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে নির্মাতা অনন্য মামুন এবং ছবিটির পুলিশ চরিত্রের অভিনেতা শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেসময় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি তাঁকে সংগঠন থেকে নিষিদ্ধ করে।

যদিও  অমানুষ ছবির প্রচারে অনেক তারকা ভিডিওবার্তা দিয়ে দর্শকদের হলে আসার আহবান জানাচ্ছেন।

সংগঠনগুলোর প্রতি অনন্য মামুন কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নিজে দশটা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছি। এ ছাড়া সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রের ১৯টি সংগঠন রয়েছে। এত এত সংগঠনে থেকে কি লাভ, যদি তারা সিনেমা মুক্তির সময় অন্য প্রসঙ্গে নিয়ে আলোচনা করে। সিনেমা মুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করে, বাঁকা চোখে দেখে, সিনেমার পাশে থাকে না। ’

নির্মাতা বলেন, ‘সিনেমা যখন একটু একটু করে বাজারের জায়গা করে নিচ্ছে, তখন বিভিন্ন প্রসঙ্গে এনে সিনেমার পাশে থাকছেন না। অনেকের কথা কাজে মিল নেই। ’

একটি জঙ্গলের মধ্যে কিছু মানুষের আধিপত্য বিস্তারের কাহিনি অমানুষ ছবিটির প্রেক্ষাপট বলে জানান পরিচালক অনন্য মামুন।  

তিনি বলেন, ‘জঙ্গলের মধ্যেই পুরো ছবির গল্প। গল্পের প্রাসঙ্গিকতার কারণে সিলেট, বান্দরবান ও ভালুকার গভীর বনে শুটিং করেছি আমরা। ’ 

অমানুষ-এর আগে নিরবের সঙ্গে কসাই বানিয়েছিলেন মামুন। এই ছবির মাধ্যমেই অভিনেত্রী মিথিলার অভিষেক হয়েছে।  

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Blogger দ্বারা পরিচালিত.