দেশ ছাড়তে মরিয়া লঙ্কানরা, পাসপোর্টও মিলছে না ঠিক সময়ে!

 অর্থনৈতিক সঙ্কট শিগগিরই কাটবে তেমন কোনও আশা নেই। মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। খাদে পড়া লঙ্কাকে কেউ টেনে তুলতে এগিয়ে আসছে না।



খাবার সঙ্কট, জ্বালানি সঙ্কট, মু্দ্রাস্ফীতি ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধও নেই। তাই প্রাণ বাঁচাতে আর একটু ভালো থাকতে মরিয়া হয়ে উঠছেন শ্রীলঙ্কার অনেক মানুষ। তাদের অনেকেই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই প্রতিদিনই পাসপোর্ট অফিসগুলোতে ভিড় বাড়ছে।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে পাসপোর্ট পেতেও অনেককে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

পাসপোর্ট পাওয়ার আশায় গত সপ্তাহে ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দপ্তরের বাইরে দুই দিন ধরে অপেক্ষা করছেন গার্মেন্ট কর্মী আর এম আর লেনোরা, বয়স তার ৩৩। তার স্বামী শ্রীলঙ্কার একটি ছোট রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজ করতেন। কিন্তু চলমান সঙ্কটে তিনিও কাজ হারিয়েছেন। এরপরই কুয়েতে গৃহকর্মীর চাকরির জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন লেনোরা।
 
তিনি বলেন, ‘রেস্তোরাঁয় রান্নার গ্যাস নেই। খাবারের খরচ আকাশ ছোঁয়া। এ কারণে আমার স্বামী চাকরি হারিয়েছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন এবং পেলেও বেতন খুব কম।’

লেনোরা জানান, দিনে প্রায় আড়াই হাজার শ্রীলঙ্কান রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৩৪ টাকা) উপার্জন করেন তিনি। এত অল্প টাকায় দুই সন্তান নিয়ে জীবনযাপন করা অসম্ভব।

লেনোরার মতো নানা পেশার আরও অনেক মানুষ পাসপোর্ট অফিসের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন প্রতিদিন। তাদের সবাই ভালো জীবনের আশায় শ্রীলঙ্কা থেকে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাতে চান।

শ্রীলঙ্কার সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের প্রথম পাঁচ মাসে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৬৪৫টি পাসপোর্ট ইস্যু করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। অন্যদিকে গত বছর একইসময়ে পাসপোর্ট ইস্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র ৯১ হাজার ৩৩১টি! 

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷

Blogger দ্বারা পরিচালিত.